ধরুন আপনি কোথাও ঘুরতে যেতে চাচ্ছেন।সেটা পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত হতে পারে , কিন্তু আপনি এটাও চাচ্ছেন আপনাকে কেউ ট্রেস না করুক, অর্থাৎ আপনার ঘুরতে যাওয়া ব্যাপারটা সম্পূর্ণ গোপন থাক। কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব তাই না? আপনি কোথাও ঘুরতে যাবেন অথচ কেউ জানতে পারবে না এটা তো অসম্ভব। কিন্তু আমি যদি বলি এটা সম্ভব ,শুনে অবাক লাগছে তাইনা? রিয়েল লাইফে এটা সম্ভব না হলেও, আমরা যারা প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট ব্যবহার করি এবং নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে চাই তারা চাইলেই একটি ব্রাউজার ব্যবহার করে আমরা এই কাজটি করতে পারি।
কে জানতো বলুন তো , অনলাইনে অ্যাননিমাস থাকার সবচাইতে বেটার পদ্ধতি হচ্ছে পেঁয়াজের পেছনে লুকিয়ে পড়া! এখানে কোন শাকসবজির কথা বলা হচ্ছে না, কথা বলা হচ্ছে আজব এক ইন্টারনেট ব্রাউজার দ্যা অনিয়ন রাউটার (The Onion Router) সম্পর্কে; যেটাকে হয়তো আপনি টর ব্রাউজার (TOR Browser) নামে চেনেন।
আপনারা সবাই পেঁয়াজের গঠন তো নিশ্চয় জানেন, একটি পেঁয়াজের অনেক গুলো কভার থাকে এবং একটি কভার খুললে আরেকটি কভার, আরেকটি খুললে আরেকটি, এভাবে একটার পর একটা আসতেই থাকে। টর অনেকটা এই ধারণা অনুসরন করেই অনলাইনে আপনার পরিচয় গোপন রাখতে সাহায্য করে। বিশ্ব জুড়ে বহু সাইবার ক্রিমিন্যাল, কম্পিউটার গুরু, এমনকি অনেক সাধারন ইউজার গভর্নমেন্ট, অনলাইন বিজ্ঞাপণ, পার্সোনাল ডাটা গুলোর দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে টর ব্যবহার করে।
ইন্টারনেট নিজের পরিচয় গোপন রাখতে আমরা ভিপিএন ব্যবহার করে থাকি। তবে ভিপিএন থেকে আরো বেশি নিরাপদ মাধ্যম হলো টর নেটওয়ার্ক। ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা থাকে এই নেটওয়ার্কে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো এইটা সম্পর্কে জানি, কিন্তু যারা জানেন না তাদের জন্য আমি আজকে টর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
টর নেটওয়ার্ক কি?
দ্যা অনিয়ন রাউটার
(The Onion Router) এর সংক্ষেপ রুপ হচ্ছে টর (TOR)। অনিয়ন অর্থ হচ্ছে পেঁয়াজ। এই নেটওয়ার্কের গঠন মূলত পেঁয়াজের মতোই তাই এর নাম দেওয়া হয়েছে দ্যা অনিয়ন রাউটার। অনিয়ন রাউটিং নীতির উপর ভিত্তি করে এই নেটওয়ার্ক তৈরী করা হয়েছে।
টর নেটওয়ার্কে নিরাপত্তা থাকে অনেকগুলো স্তরে। এই সকল স্তরে ব্যবহারকারীদের তথ্য এনক্রিপ্ট করে রাখা হয়। এর ফলে ব্যবহারকারীদের ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। সম্পূর্ণ গোপণীয়ভাবে ব্রাউজিং করা যায়।
টর নেটওয়ার্কের ইতিহাস
এই নেটওয়ার্ক তৈরীর কাজ ১৯৯০ এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর গবেষণাগারে শুরু হয়। এর প্রাথমিক সংস্করণ ২০ সেপ্টেম্বর ২০০২ সালে প্রকাশ করা হয়। এর প্রোগ্রাম লেখা হয়েছে সি, পাইথন ও রাস্ট ল্যাঙ্গুয়েজে।
টর কীভাবে কাজ করে?
সাধারনত আমরা ইন্টারনেট ব্রাউজ করার জন্য কি করি? যেকোনো পছন্দের ব্রাউজার ওপেন করে অ্যাড্রেস লিখে ঢুকে পড়ি এবং আমাদের কাঙ্খিত ফলাফল পেয়ে যাই। অথচ এই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে আমাদের কম্পিউটার কি কি কাজ করে তা হয়তো অনেকেই জানি না।আমরা যখন এড্রেসবারে কোন কিছু সম্পর্কে জানতে চাই তখন আপনার রিকোয়েস্টটি আপনার কম্পিউটার থেকে আপনার আইএসপির (ISP-Internet Service Provider) কম্পিউটারে গিয়ে পৌঁছায় এবং আপনার আইএসপি আপনার রিকোয়েস্ট করা ওয়েব সার্ভারের কাছে পেজ চেয়ে অনুরোধ করে। একবার পেজটি পাওয়া গেলে সেটাকে আপনার কম্পিউটার পর্যন্ত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এখন একটি বিষয় লক্ষ্য করুন আপনি কোন সাইট ভিজিট করতে চাচ্ছেন সেটা সর্বদা আপনার আইএসপি জানছে আবার আপনি যে সাইট ভিজিট করছেন সেই সাইটও আপনার কম্পিউটার এবং আপনার আইএসপি সম্পর্কে জেনে যাচ্ছে। কেনোনা আপনার ভিজিট করা সাইটের কাছে আপনার আইপি অ্যাড্রেস চলে যাচ্ছে। তো এভাবেই অনলাইনে আমাদের পরিচয় খোলাসা হয়ে যায়, এবং আমরা কি কি অ্যাক্টিভিটি দেখাচ্ছি সেটাও লুকিয়ে থাকে না।
শুধু এটুকুতেই কিন্তু শেষ নয়, আপনি যে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করছেন হতে পারে সে ওয়েবসাইটটি আপনার প্রত্যেকটি ইন্টারনেট কর্মকাণ্ড ট্র্যাক করার জন্য আপনার ব্রাউজারে কোন কুকিজ ছেঁড়ে দেয়। কোন কোন সাইট আপনার সেবার মান উন্নয়ন করতে আমার কোন সাইট আপনাকে উপযুক্ত বিজ্ঞাপণ দেখানোর জন্যও কুকিজ প্ল্যান্ট করে থাকে। যেমন- গুগল বা ফেসবুক সবাই বিজ্ঞাপণ দেখানোর জন্য কুকিজ ব্যবহার করে। কিন্তু কিছু সাইট আবার আপনার সকল ডাটা চুরি করার জন্য আপনার ব্রাউজারে কুকিজ বসিয়ে দিতে পারে। তো বুঝতেই পারছেন ইন্টারনেটে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য গুলো কতোটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে।
এই অসুবিধা গুলো থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য এবং বিশেষ করে আপনাকে অনলাইন প্রাইভেসি প্রদান করার জন্য টর ব্রাউজার টর নেটওয়ার্ক এর সাহায্যে কাজ করে থাকে। যখন আপনি টর ব্রাউজারে কোন অ্যাড্রেস লিখেন ব্রাউজার আপনার ট্র্যাফিককে তৎক্ষণাৎ এনক্রিপটেড করে দেয় এবং সেই ট্র্যাফিককে সরাসরি ওয়েব সার্ভারের কাছে না পৌছিয়ে বিভিন্ন টর সার্ভারের মধ্যদিয়ে নিয়ে যায়।
টর নেটওয়ার্কের এই ধাপগুলোকে বলা হয় রিলে। প্রতিটি রিলের জন্য আলাদা আলাদা এনক্রিপশন থাকে। বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ৬ হাজার রিলে কম্পিউটার রয়েছে। বিভিন্ন মানুষ বিনামূল্য এই রিলে সেবা দেওয়ার কাজ করে চলছে।
এই রিলে হয়ে থাকে তিনটি ধাপে। ধাপগুলো হলোঃ
এন্ট্রি গার্ড রিলে
এটি হলো প্রথম স্তর। এই স্তরে আপনার সকল তথ্য মুছে দেওয়া হয় এবং তা মিডল রিলে তে পাঠানো হয়।
মিডেল রিলে
এটি হলো এনক্রিপশনের মধ্যম ধাপ। এই ধাপে আপনার কোনো তথ্য থাকবে না। শুধু জানা যাবে এই তথ্যটি এসেছে এন্ট্রি গার্ড রিলে থেকে।
এক্সিট রিলে
এই ধাপে এসে আপনার পাঠানো ডাটা প্যাকেটটি খোলা হবে। আপনার কাঙ্ক্ষিত ওয়েব সার্ভারে প্রেরণ করা হয়। এইখান থেকে কেউ চেষ্টা করলে আপনার পাঠানো তথ্য দেখতে পারবে কিন্তু আপনার কোনো তথ্য জানতে পারবে না।
ধরুন আপনি বাংলাদেশ থেকে টর ব্যবহার করে সেমিকোলন বিডি ভিজিট করতে চাচ্ছেন। প্রথমে আপনার ট্র্যাফিককে এনক্রিপটেড করা হবে যাতে কেউ আপনার রিকোয়েস্ট পড়তে না পারে। তারপরে প্রথমে অ্যামেরিকার সার্ভারে চলে যাবে সেখান থেকে ব্রাজিলের সার্ভারে যাবে, আবার ইন্ডিয়ান সার্ভার থেকে রাশিয়ান সার্ভার এমন কয়েকশো সার্ভার হয়ে তবেই নির্দিষ্ট ওয়েব সার্ভারের কাছে রিকোয়েস্টটি পৌঁছাবে। ফলে ঠিক কোন স্থান থেকে রিকোয়েস্টটি এসেছিলো সেটা ডিটেক্ট করা একেবারে অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
তবে এখানেও কিছু ব্যাপার রয়েছে যেগুলো আপনার জানা প্রয়োজনীয়। সাধারন ইন্টারনেট ট্র্যাফিক এসএসএল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে ওয়েবসাইট এবং আপনার কম্পিউটারের মধ্যে থাকা ইন্টারনেট ট্র্যাফিককে এনক্রিপটেড করে রাখে। টর ব্রাউজারে প্রথমে আপনার ইন্টারনেট ট্র্যাফিককে এনক্রিপটেড করা হয় এবং সকল সার্ভারে এই ডাটাকে এনক্রিপ্ট করেই ট্র্যান্সমিট করানো হয়, কিন্তু ফাইনাল সার্ভার (এক্সিট নোড) থেকে মানে যে সার্ভার থেকে ডাটাকে ফাইনালি টার্গেট ওয়েব সার্ভারের কাছে পাঠানো হয় সেখানে ডাটাকে ডিক্রিপ্ট করা হয় যদি ওয়েবসাইটটি এসএসএল ব্যবহার না করে (https)। আর ডিক্রিপ্টেড হওয়া নর্মাল ডাটা আপনার প্রাইভেসির জন্য ঝুঁকি পূর্ণ হতে পারে। তাই টর ব্যবহার করলেও আপনি যদি https সাইট ভিজিট করেন শুধু তবেই আপনার ডাটা এন্ড টু এন্ড এনক্রিপটেড থাকবে।
আবার আরেকটি বিষয়, টর কিন্তু আপনার সম্পূর্ণ কম্পিউটারের ইন্টারনেট ট্র্যাফিককে টর নেটওয়ার্ক এর আওতায় নিয়ে আসে না। কেবল সে ট্র্যাফিক গুলো লুকায়িত থাকতে পারে যেগুলো শুধু টর ব্রাউজার দিয়ে ভিজিট করা হয়। এখন ধরুন আপনার উইন্ডোজ ব্যাকগ্রাউন্ড আপডেট নিচ্ছে কিংবা আপনার ইন্সটল থাকা যেকোনো সফটওয়্যার তার সার্ভারের সাথে যোগাযোগ করছে, এক্ষেত্রে টর কোন কাজে আসবে না আর এই ট্র্যাফিক গুলো আপনার আইএসপি রীড করতে পারবে। তবে আপনি ভিপিএন ব্যবহার করে আপনার সম্পূর্ণ কম্পিউটার ট্র্যাফিককে প্রাইভেট সার্ভারের মাধ্যম দিয়ে পরিচালনা করতে পারেন এমনকি আপনার আইএসপির চোখে ধুলো দিয়ে।
আজকের যেকোনো সাধারন ব্রাউজারে ইনকগনিটো মুড বলে একটি ফিচার থাকে, আমরা মনে করি এটি ওপেন করে নেট সার্ফ করলে আমাদের পরিচয় গোপন থাকবে, আসলে এটি ঠিক না। এতে শুধু ব্রাউজারে আপনার ব্রাউজিং হিস্টরি সেভ হবে না, কিন্তু আপনার আইএসপি সবকিছু জানতে পারবে আপনি কোথায়, কখন এবং কি ভিজিট করছেন অনলাইনে।
টর নেটওয়ার্ক ব্যবহারের অসুবিধা
টর নেটওয়ার্ক অনেকগুলো ধাপ পেরিয়ে আপনার কাঙ্ক্ষিত সাইটটি আপনার সামনে উপস্থাপন করে থাকে। এই ধাপগুলোর ফলে ব্রাউজিং গতি থাকবে অনেক কম। এমনকি ভিপিএনের থেকেও কম থাকে।এটি একমাত্র অসুবিধা।
টর নাকি ভিপিএন
টর নেটওয়ার্কের অসুবিধা জেনে হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, ভিপিএন ব্যবহার করলে অসুবিধা কোথায়? ভিপিএনও তো আমাদের তথ্য গোপন করে রাখে।
হ্যা, আপনি ঠিক বলেছেন ভিপিএন আমাদের তথ্য গোপন করতে সাহায্য করে। তবে ভিপিএন ব্যবহারকারীদের তথ্য ভিপিএন প্রোভাইডাররা জানতে পারে। প্রোভাইডারের কাছে আপনার আইপি ঠিকানা ও সকল তথ্য থাকে। ইচ্ছে করলেই আপনার তথ্য তারা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রিও করতে পারবে। এই সুযোগটি নেই টর নেটওয়ার্কে। এইখানে আপনার সকল ডাটা থাকবে একদম নিরাপদ। এখন আপনি যদি আপনার তথ্যের নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য টর হবে সর্বোত্তম। আর আপনি গতিময় ব্রাউজিং চাইলে ভিপিএন ব্যবহার করতে পারেন। ভিপিএনও একটি নিরাপদ মাধ্যম।
টর ঠিক কতখনি সিকিউর?
আসলে পৃথিবীর কোন কিছুই শতভাগ নিরাপদ নয়। টর তখনোই সম্পূর্ণ সিকিউর হবে যখন এতে আপনি আরো বিষয়কে মাথায় রাখবেন। টরের যে ফাইনাল সার্ভার থেকে ওপেন ইন্টারনেটের কাছে রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়, সেটাকে ট্র্যাক করা যেতে পারে বা মনিটর করা যেতে পারে। ফাইনাল সার্ভারটিকে এক্সিট নোড বলা হয়। সুতরাং যেমনটা আগেই বলেছি, অবশ্যই যে সাইটে আপনি ভিজিট করছেন, সেটা এসএসএল ব্যবহৃত সাইট হতে হবে, না হলে আপনার ব্রাউজিং ডাটা লিক হয়ে যেতে পারে আপনাকে আপনাকে মনিটর করা যেতে পারে। সাথে আপনার ব্রাউজারে যদি আলাদা কোন প্লাগিন ইন্সটল করেন, বা কোন ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা ম্যালিসিয়াস কোড বা জাভা স্ক্রিপ্ট আপনার তথ্য লিক করতে পারে। যদিও জাভা স্ক্রিপ্ট কোন সিকিউরিটি রিস্ক নয়, কিন্তু তারপরেও জাভা স্ক্রিপ্ট বন্ধ থাকায় ভালো। আবার ব্রাউজারের সাথে থাকা ফ্ল্যাশ প্লেয়ার, অ্যাডোব রিডার, বা অনলাইন ভিডিও প্লেয়ার আপনার আসল আইপি অ্যাড্রেস লিক করতে পারে ঐ ওয়েবসাইটটির কাছে।
এই সমস্যা গুলো থেকে বাঁচতে বা আপনার প্রাইভেসি রক্ষার্থে অবশ্যই টরের ডিফল্ট সেটিং গুলোকে ব্যবহার করুন, নিজে থেকে কিছু মাতব্বরি করা আপনার প্রাইভেসি বা অ্যাননিমাস থাকাকে নষ্ট করে দিতে পারে।
টর নেটওয়ার্ক কিভাবে ব্যবহার করবেন?
আপনি সাধারণ ব্রাউজার দিয়ে চাইলেই টর নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্রাউজিং করতে পারবেন না। এর জন্য লাগবে আলাদা একটি ব্রাউজার, এর নাম টর ব্রাউজার। এই ব্রাউজারটি মজিলা ফায়ারফক্স ব্রাউজারের উপর মডিফাই করে তৈরী করা হয়েছে, তাই দেখতে ফায়ারফক্সের মতোই। এই ব্রাউজারটি টর প্রজেক্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আপনি ডাউনলোড করতে পারবেন। ব্রাউজারটি ইন্সটল করে খুব সহজেই আপনি টর নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হতে পারবেন। টর নেটওয়ার্ক জিনিসটা জটিল হলেও এর সাথে যুক্ত হওয়াটা অনেক বেশি সহজ। টর ব্রাউজার ব্যবহার করে ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করতে পারবেন যদি আপনার কাছে সেই ওয়েবের ঠিকানা থেকে থাকে। এছাড়াও অ্যান্ড্রয়েডের জন্য রয়েছে Tor Browser for Android, Orbot এবং Orfox নামে প্লেস্টোরে অ্যাপ রয়েছে, এই অ্যাপগুলোর যেকোনো একটা ব্যবহার করেই আপনি খুব সহজেই টর নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে পারবেন।
পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই, যদি আপনি অনলাইনে লুকিয়ে থাকতে চান, মানে আপনার অনলাইন পরিচয়কে লুকিয়ে রাখতে চান তবে, এটি করার জন্য টর নেটওয়ার্ক সবচাইতে সহজ এবং ভরসা যোগ্য ব্যবস্থা। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনার মাথায় রাখা উচিৎ,কোন সিস্টেমই আপনাকে ১০০% গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না। সেখানে আপনি টর নেটওয়ার্ক, ভিপিএন, প্রক্সি আর যাই ব্যবহার করুন না কেন। আপনি বেসিক কাজের জন্য যেকোনো একটি সিস্টেম ব্যবহার করুন এবং নিজের বুদ্ধি লাগিয়ে ভাবুন আপনার কি করা উচিৎ এবং কি করা উচিত নয়, এতে আপনার ৭০% নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়ে যাবে। আর বাকিটা সিস্টেম করে দেবে। আর ইন্টারনেটে কখনোই সাইবার ক্রাইম করার চেষ্টা করবেন না।
ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন
ধন্যবাদ।
Post a Comment
0Comments