পূর্বের পর্বের পর আপনাকে স্বাগতম। এতক্ষণ আমরা ম্যালওয়্যার কি এবং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনেছে। এখন এটি কিভাবে ছড়ায় এবং এর প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।😃
ম্যালওয়্যার কিভাবে ছড়ায়
ম্যালওয়্যার কিভাবে ছড়ায়
আজকের দিনে আপনার কম্পিউটারটি আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে কমন সোর্স হলো ইন্টারনেট। ইন্টারনেটে যদি আপনি কোন ম্যালিসিয়াস ওয়েবসাইটে থাকেন, যদি আপনি কোন পাইরেটেড মুভি ডাউনলোড করেন, যদি পাইরেটেড সফটওয়্যার এবং গেমস ডাউনলোড করেন, যদি আপনি কোন ম্যালিসিয়াস ওয়েবসাইটে ম্যালিসিয়াস অ্যাডের উপর ক্লিক করেন অথবা আপনার কাছে যদি কোন ম্যালিসিয়াস ইমেইল আসে এবং আপনি সেই ইমেইল ক্লিক করেন তবে এগুলোর মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারটি ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। অনলাইন ছাড়া অফলাইনেও আপনার কম্পিউটার আক্রান্ত হতে পারে। যেমন ধরুন আপনি যদি কোন অজানা সোর্স থেকে আসা সিডি, ডিভিডি, বা পেনড্রাইভ আপনার কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট করেন তবে আপনার কম্পিউটার আক্রান্ত হতে পারে।
ম্যালওয়্যার থেকে বাঁচার উপায়
আমরা ইতিমধ্যে যে সমস্ত থ্রেট সম্পর্কে জেনেছি তার অধিকাংশই ইন্টারনেট সার্ফিং এর সময় আমাদের সিস্টেম কে আক্রান্ত করে। ইন্টারনেট যেহেতু বর্তমান পৃথিবীর চালিকা শক্তি। সুতরাং ম্যালওয়্যার থেকে বাঁচতে নিশ্চয় আমরা ইন্টারনেট থেকে দুরে থাকবো না। ম্যালওয়্যার থেকে বাঁচার প্রথম উপায় হচ্ছে নিজে সচেতন হওয়া। ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় একটু চোখ খোলা রাখলেই ম্যালওয়্যার এর ফাঁদে পরবেন না।
আপনার অপারেটিং সিস্টেম এবং সংশ্লিষ্ট সব প্রোগ্রামকে নিয়মিত আপডেট রাখুন। চেষ্টা করুন ইন্টারনেটে যে ওয়েবসাইট গুলো ভিজিট করেন তা যেন বিশ্বস্ত সাইট হয়। একটি পপুলার, বড়, এবং বিশ্বস্ত সাইট সাধারনত ম্যালিসিয়াস হয় না। যেকোনো অজানা ওয়েবসাইটের লিঙ্কে ক্লিক করে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকুন।
কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় আপনার কাছে যদি অ্যাড আসে যে, “আইফোন জিতুন, এখানে ক্লিক করুন” বা “আপনার কম্পিউটারের সকল ভাইরাস রিমুভ করুন” “আজীবন ফ্রিতে কথা বলুন” ইত্যাদি অ্যাডে কখনও ক্লিক করবেন না। তাছাড়া আপনার কাছে যদি এমন কোন মেইল আসে যে, “আপনি এতো কোটি টাকার লটারি জিতেছেন” বা “আপনার জন্য লেটেস্ট অফার নিয়ে নিন অমুক অ্যান্টিভাইরাস ১ বছরের জন্য ফ্রি” তো ইত্যাদি মেইল কখনোই ওপেন করবেন না। বা মেইলের সাথে আসা ফাইল কখনোয় ডাউনলোড করবেন না।তো অনলাইনে এ সকল বিষয় বস্তুর উপর খেয়াল রেখে আপনার কম্পিউটারকে ম্যালওয়্যার আক্রান্ত হওয়া থেকে বাচাতে পারেন।
আপনার অপারেটিং সিস্টেম এবং সংশ্লিষ্ট সব প্রোগ্রামকে নিয়মিত আপডেট রাখুন। চেষ্টা করুন ইন্টারনেটে যে ওয়েবসাইট গুলো ভিজিট করেন তা যেন বিশ্বস্ত সাইট হয়। একটি পপুলার, বড়, এবং বিশ্বস্ত সাইট সাধারনত ম্যালিসিয়াস হয় না। যেকোনো অজানা ওয়েবসাইটের লিঙ্কে ক্লিক করে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকুন।
কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় আপনার কাছে যদি অ্যাড আসে যে, “আইফোন জিতুন, এখানে ক্লিক করুন” বা “আপনার কম্পিউটারের সকল ভাইরাস রিমুভ করুন” “আজীবন ফ্রিতে কথা বলুন” ইত্যাদি অ্যাডে কখনও ক্লিক করবেন না। তাছাড়া আপনার কাছে যদি এমন কোন মেইল আসে যে, “আপনি এতো কোটি টাকার লটারি জিতেছেন” বা “আপনার জন্য লেটেস্ট অফার নিয়ে নিন অমুক অ্যান্টিভাইরাস ১ বছরের জন্য ফ্রি” তো ইত্যাদি মেইল কখনোই ওপেন করবেন না। বা মেইলের সাথে আসা ফাইল কখনোয় ডাউনলোড করবেন না।তো অনলাইনে এ সকল বিষয় বস্তুর উপর খেয়াল রেখে আপনার কম্পিউটারকে ম্যালওয়্যার আক্রান্ত হওয়া থেকে বাচাতে পারেন।
আবার কোন প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যারকে ওপেন করার আগে এন্টিভাইরাস বা এন্টিম্যালওয়্যার দিয়ে ভালোভাবে স্ক্যান করে নিন। একটি ভালো অ্যান্টিভাইরাস এবং সাথে ইন্টারনেট সিকিউরিটি ব্যবহার করুন। তবে একটি বিশেষ বিষয় খেয়াল রাখুন এই অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি যেন একটি পেইড ভার্সন হয় একটি লাইসেন্সড ভার্সন হয়। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ESET Smart Securtiy পছন্দ করি।
আপনি যদি ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস বা পাইরেটেড অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করেন তবে আমার কথার সাথে মিলিয়ে নিবেন, এতে আপনার সামান্যতম লাভও হবে না। বরং উল্টা আপনি ট্রোজান আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারেন। তো আমার মতে যেকোনো কোম্পানির হোক না কেন একটি পেইড ভার্সন অ্যান্টিভাইরাস বা অ্যান্টিম্যালওয়্যার আপনার কাছে থাকা অতীব প্রয়োজনীয়।
তাছাড়া আপনি যদি কোন প্রকারের পাইরেটেড কনটেন্ট ব্যবহার না করেন তবে তা আপনার জন্য এক অধিক সুরক্ষা স্তর তৈরি হয়। যদিও সবসময় পাইরেটেড মুভিজ বা সফটওয়্যারের ভেতর ভাইরাস থাকেনা, তবুও কখনো কখনো থাকতেও পারে। নগ্ন চলচিত্র কিংবা অশ্লীল ওয়েব সাইট গুলো থেকে দুরে থাকুন।
আপনি যদি ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস বা পাইরেটেড অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করেন তবে আমার কথার সাথে মিলিয়ে নিবেন, এতে আপনার সামান্যতম লাভও হবে না। বরং উল্টা আপনি ট্রোজান আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারেন। তো আমার মতে যেকোনো কোম্পানির হোক না কেন একটি পেইড ভার্সন অ্যান্টিভাইরাস বা অ্যান্টিম্যালওয়্যার আপনার কাছে থাকা অতীব প্রয়োজনীয়।
তাছাড়া আপনি যদি কোন প্রকারের পাইরেটেড কনটেন্ট ব্যবহার না করেন তবে তা আপনার জন্য এক অধিক সুরক্ষা স্তর তৈরি হয়। যদিও সবসময় পাইরেটেড মুভিজ বা সফটওয়্যারের ভেতর ভাইরাস থাকেনা, তবুও কখনো কখনো থাকতেও পারে। নগ্ন চলচিত্র কিংবা অশ্লীল ওয়েব সাইট গুলো থেকে দুরে থাকুন।
তাছাড়া আপনার কম্পিউটারে কোন সিডি, ডিভিডি, বা পেনড্রাইভ প্রবেশ করানোর আগে ভেবে নিন যে এগুলো বিশ্বস্ত সোর্স থেকে আপনার কাছে এসেছে কিনা। কেনোনা অনেক সময় ১০ মিনিটের এক কপি পেস্ট আপনার পুরো কম্পিউটার খারাপ করার জন্য দায়ী হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার কাছে একটি পেইড ভার্সন অ্যান্টিভাইরাস থাকলে অনেক ভালো হয়। যদি না থাকে তবে কোন প্রকার সিডি, ডিভিডি, বা পেনড্রাইভ প্রবেশ করানোর আগে ভালো করে ভেবে নিন।
ভুল করেও একবার যদি এই ভার্চুয়াল মনস্টার গুলো আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করে, তবে আপনার কম্পিউটার এর বিদায় পিতিবি হতে সময় লাগবে না।
ম্যালওয়্যার দ্বারা আগে থেকেই আক্রান্ত হয়ে থাকলে করনীয়
আপনার কম্পিউটারটি যদি আগে থেকেই বিভিন্ন ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে, তবে আপনি একটি ভালো অ্যান্টিভাইরাস বা অ্যান্টিম্যালওয়্যার দ্বারা আপনার কম্পিউটারকে ম্যালওয়্যার মুক্ত করাতে পারেন। অনেক সময় অনেক অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টিম্যালওয়্যার সফটওয়্যারও আপনার পিসিকে ম্যালওয়্যার ক্লিন করতে পারে না। এই অবস্থায় আপনার কম্পিউটারের হার্ড-ড্রাইভ সম্পূর্ণ ইরেজ করে (ফরমেট) এই আক্রমন থেকে বাঁচতে পারেন। এসব ছাড়াও ফায়ারওয়াল ব্যবহার করাও একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তো আপনার ইন্টারনেট সুরক্ষা বৃদ্ধি করার জন্য আপনি একটি ভালো ফায়ারওয়াল ব্যাবহার করতে পারেন।
আপনি যদি কোন ইন্টারনেট সিকিউরিটি ওয়ালা অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করেন তবে সেখানেও একটি শক্তিশালি ফায়ারওয়াল পেয়ে যাবেন, তা ব্যবহার করতে পারেন এবং এটির ব্যবহারের ফলেঅনলাইনে আপনার কাছে যেসকল অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় আসতে পারতো তা আর আসবে না এবং এভাবে আপনি আপনার কম্পিউটারকে আরো সিকিউর বানাতে পারবেন।
বর্তমানে ইন্টারনেট আমাদের সব কিছু। ইন্টারনেট ছাড়া আমরা এক মূহুর্ত চলতে পারিনা। নিজেদের নিরাপদ রাখতে সব সময়ে সঠিক বিষয়ে জ্ঞান রাখুন। কারও দ্বারা বিভ্রান্ত না হয়ে বরং নিজে জেনে তারপর সঠিক পদক্ষেপ নিন। সব সময় অশ্লীলতা এবং অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন। জেনে বুঝে ফাইল ডাউনলোড করুন। তখন নিজেকে নিরাপদ রাখতে আর দু’বার চিন্তা করতে হবে না।
আশা করছি পোস্টটি ভাল লেগেছে। চাইলে এটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন আর কোন বিষয়ে বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
ভাল থাকবেন ,ভাল রাখবেন 😀
Post a Comment
0Comments