জন্যে পৃথিবীর সমস্ত অক্সিজেন নাই করে দেয়া হবে! কি হতে পারে তাতে একবারও ভেবে দেখেছেন?
১০ সেকেন্ড তো আমরা শ্বাস বন্ধ করে থাকতেই পারি, তাইনা? স্বাভাবিক স্বাস্থ্য সম্পন্ন যেকোন মানুষ ৩০ সেকেন্ড দম বন্ধ রাখতে পারে। অর্থাৎ এটা কোন ঘটনাই না আসলে আমাদের জন্যে।
ব্যাপারটা আসলে একটু কমপ্লেক্স। সূর্যের যে আলো পৃথিবীতে আসে সেটা আমাদের বায়ুমন্ডলে বিশ্লিষ্ট হয়ে সাত রঙ এ ছড়িয়ে পড়ে। নীল বা আসমানী বর্ণের রঙ এর বিচ্ছুরণ ক্ষমতা বেশি বলে পুরো আকাশ জুড়ে নীলের ছড়াছড়ি হয়ে যায়। এক্ষেত্রে বায়ুমণ্ডল প্রিজমের কাজ করে। অক্সিজেন নাই হয়ে গেলে বায়ুমন্ডলের ঘনত্ব কমে যাবে। প্রিজম টা আগের মতো আর কাজ করবেনা। এমন যদি হয় তাহলে প্রথমে আপনি যেটা খেয়াল করবেন আমাদের আকাশ ধুম করে কালো হয়ে গেছে।
সেকেন্ড যেটা হবে, যতো বহুতল দালান আছে কংক্রীটের তৈরি, সবকিছু থেকে ঝুড়ঝুড় করে কংক্রীট খসে পড়তে শুরু করবে। অক্সিজেন কংক্রীটের মলিকুলের মাঝে এডহেসিভ মানে আঠা হিসেবে কাজ করে। যে রড গুলো দিয়ে বিল্ডিং বানানো হয়েছে সেগুলো হঠাত করে ধনুষ্টংকার রোগীর মতো বেকে মুচড়ে যেতে চাইবে। অক্সিজেন যেকোন ধাতুর চারপাশে একটা নিষ্ক্রিয় লেয়ার তৈরি করে রাখে। এইটা কাজ করা বন্ধ করে দিলে যেকোন মেটালিক পদার্থই বেকে যাবে। ধরুন আপনি একটা স্টিলের চামচ নিয়ে বসে আছেন। দেখবেন চামচের মাথা বেকে চামচের গোড়ার কাছে চলে আসছে।
এতোক্ষণেও যদি আপনার মাথায় বিল্ডিং এর ছাদ পড়ে আপনার ভবলীলা সাংগ না হয়ে থাকে তাইলে ওয়েট করেন মাথার উপর থেকে সমস্ত এয়ারক্রাফট নিচে পড়া শুরু করবে এখুনি। অক্সিজেন সব ইঞ্জিনে দহনের কাজ করে। অক্সিজেন নাই, অর্থাৎ প্লেনের ইঞ্জিন অকার্যকর।
তাও ধরেন আপনার লাক ভালো। চলন্ত প্লেন সব আপনার মাথা ছেড়ে দিয়ে এদিক ওদিক পড়লো। আপনার মাথার উপর ছাদ ও নাই। পৃথিবীর মাথার উপর যে ওজোন লেয়ার সেটাও কিন্তু এখন আর নাই। ওজোন হচ্ছে অক্সিজেনের তিন পরমাণুর মিলিত অনু। এই লেয়ার সূর্যের ইউ ভি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের বাচিয়ে রাখে। এই লেয়ার নাই মানে আপনি মুক্ত রোদে এখন ভালনারেবল।
ধরেন আপনার কই মাছের প্রাণ। এখনো ঠিক ঠাক আছেন।একটু মাটির দিকে তাকান। ঠিক ঠাক মতো আছে কিনা দেখেন!! থাকার কথা না। পৃথিবী কোর এ মানে সোজা ভাষায় মাটির নিচে যা আছে তার ৪৭ ভাগ অক্সিজেন, ২৮ ভাগ সিলিকন, ৪ ভাগ লোহা বাকি ১ ভাগ অন্যান্য। ৪৭ ভাগ অক্সিজেন ই নাই, একবার আন্দাজ করতে পারছেন ব্যাপারটা। মানে পৃথিবীর কেন্দ্রমন্ডল, গুরুমন্ডল, অশ্মমণ্ডল স্ট্যাবিলিটি হারাবে। মানে সব শ্যাষ!
১০ সেকেন্ড পরের অক্সিজেন আসতে আসতে আপনি শুভংকরের ফাকি হয়ে যাবেন। 😅
লেখাঃ ফয়সাল হায়দার
Wow
ReplyDeleteThank you.
Delete